ইউনূস-বাইডেন ঐতিহাসিক বৈঠক, বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা!
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি, নিউ ইয়র্ক, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে এক বিরল দৃশ্যপটের সৃষ্টি হলো, যখন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বিশ্বের নজর ছিল এই বৈঠকের দিকে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা হিসেবে ধরা দেবে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু হলো এই বৈঠকের মাধ্যমে, যা ভবিষ্যতের কূটনৈতিক সমীকরণে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ড. ইউনূস, যিনি আগস্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে নানা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা করেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও দেশের পুনর্গঠন। বাইডেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উত্তরণে তাঁর পূর্ণ সহযোগিতা ও পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এই বৈঠকটি কেবল একটি কূটনৈতিক সভা নয়, বরং বাংলাদেশকে এক নতুন গতিপথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। ড. ইউনূস বাইডেনকে উপহার দেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবিসংবলিত আর্টবুক ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’।
বৈঠকে মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পক্ষে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক সুবিধার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। বাইডেন-ইউনূস বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে, বিশেষ করে জিএসপি সুবিধা পুনরুদ্ধারের প্রস্তাবটি।
ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সূচনা হিসেবে এ বৈঠকটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে তাঁর ভাষণেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, গণঅভ্যুত্থান, এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কল্যাণমুখী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার দৃঢ়প্রত্যয় উল্লেখ করা হবে বলে জানা গেছে।
এই বৈঠকটি শুধু কূটনৈতিক নয়, এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা।