ভালবাসার গল্প, মায়া ! পর্ব-৩
ভালবাসার গল্পঃ মায়া ! পর্ব-৩
অরিণ সম্পর্কে চিন্তা করতে করতে রাহুল ঘুমিয়ে পড়েছিলো।
রাহুলের বাবা একজন চাষী, সামান্য জমিতে চাষ করে কোনমতে চলে যায়। রাহুলরা তিন ভাই, সকলে পড়াশোনায় রয়েছে। খুব কষ্টের সংসার তার উপরে ছেলেদের পড়াশুনা, ছোট্ট একটি চায়ের দোকান থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে চলে যায় দিন।
এদিকে রাহুল সকাল সকাল ঘুম হতে উঠে, একটু নাস্তা করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলো। কলেজে গিয়ে আজকে সায়েন্স ল্যাবের কাছে দুটি মেয়েকে দাড়িয়ে কথা বলতে দেখলো, একটি চেহারা খুব পরিচিত মনে হচ্ছিল ! হ্যাঁ, তাইতো অরিন নামের মেয়েটি !
তার কাছাকাছি আসতেই রাহুল ভাইয়া বলে ডাক দিলো। রাহুল শুনলনা এমন ভাব করে এড়িয়ে যেতে চাইলো, অরিণ কাছে এগিয়ে গেলো আর বলতে লাগলো ,আপনি এভাবে আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন কেনো ?
রাহুল বললো , আমি শুনিনি তাই ।
অরিনঃ আপনি কোন ডিপার্টমেন্টে পড়েন ?
রাহুলঃ আমি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিষয়ে থার্ড ইয়ার ।
অরিনঃ তাহলে তো ভালোই আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চারুকলা ফাস্ট ইয়ারে।
রাহুলঃ আমার ক্লাস আছে আজ তাহলে যাচ্ছি ।
অরিনঃ ধন্যবাদ, আবার দেখা হবে।
অরিনের বাবা কলিম উদ্দিন একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য রয়েছে। অরণি ও শুভ দুই ভাই বোন, মা রওশন আরা একজন মানবিক নেতা পেশায় শিক্ষিকা। কোন অভাব ছিলোনা তাদের সংসারে, ছিলো শুধু ভালোবাসার অভাব। বাবা ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে দেশ বিদেশে থাকতো,মা শিক্ষকতা পেশার সাথে নারীর অধিকার বিষয়ক সভা সেমিনার করতো ।
এখন অরিন বড় হয়েছে সব বুঝতে পারে তাই মায়ের দেখানো পথেই বন্ধুর বান্ধবের সুখে দুঃখে পাশে থাকে। এদিকে পড়াশোনা ও যেকোন সংহিতা’য় বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সে। আর শুভ পড়ে একটি ইংলিশ স্কুলে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ফিরে অরনির কোন কাজে মন বসছেনা । শুধু রাহুলের চেহারাটি মুখে ভেসে উঠতে লাগলো কতো লাজুক অথচ খুবই শক্তিশালী । জীবনে অনেক ছেলে দেখেছে সে অথচ রাহুলের মত কাউকে
এখনো দেখেনি ।
অরিন মনে মনে বলছে, আজ মনটা বারবার তার কাছে ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে !
———-
(আসছে আরো…….)
লেখকঃ দেলোয়ার হোসেন