ভালবাসার গল্প, মায়া ! পর্ব-২
অরিন নামটির সাথে রাহুলের পুরো সত্তা জড়িত, এভার রাহুল একটু নড়েচড়ে বসলো, ডায়রেটির রহস্য কিছুই সে বুঝতে পারল না, আবার পড়তে লাগলো রাহুল এভার লেখা দেখল ” আজ হঠাৎ আমার মনের মানুষের সাথে দেখা, যাই হোক অযাচিত ভাবে হলেও তাকে এক পলক দেখলাম বটে, সেদিনের কথা স্বরণ করে রাহুল ফিরে গেলো সেই স্মৃতি রোমন্থনে।
একদিন রাহুল কলেজ থেকে বাড়ি ফিরার পথে সে দেখলো একটি মেয়ের চারপাশে ছোট খাটো একটা ঝটলা পাকানো, মেয়েটি হ্যন্ড মাইকে ঘোষণা দিচ্ছিলো, কথা গুলো এরকম, আমরা নারী জাতি অসহায়, আমরা মা, আমরা বোন, আমরা স্ত্রী, আমাদের নারী জাতির সংহিসতা দিনদিন বাড়ছে। আমাদের কলেজ ছাত্রী লিজার মুখে আজ যারা এসিড নিক্ষেপ করেছে তারা মানুষ নয় এই সভ্য সমাজের কীট, এদেরকে প্রকাশ্যে ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হোক বলে বক্তব্য শেষ করলো, আর এই মেয়েটির নাম অরিন।
এমন সময় কিছু ছেলে এসে তাঁকে চারদিকে ঘিরে ধরে বলতে লাগলো এখন তোকেও এসিড মেরে তোর গোলাফ মার্কা মুখও জ্বলসে দেওয়া হবে,। অরিন ভীত না হয়ে বলতে লাগলো, শুন পাপিষ্ঠরা তোদের বিচার হবে একদিন, তখন তোদেরকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা।
আর যখনি অরিনের মুখে এসিড নিক্ষেপ করবে এমতাবস্থায় রাহুল এক লাপে এসিড নিক্ষেপ কারীকে ধরাশায়ী করে ফেলে। আর রাহুল এসিডের শিশিটি হাতে নিয়ে নিক্ষেপকারীর মুখে নিক্ষেপ করতেই হাউ-মাউ করে পালাতে থাকে সকলেই।
এদিকে অরিন এতো সাহস ও নির্ঘাত মৃত্যুর মুখে নিক্ষেপীত রাহুলের দিকে এক নজরে তাকিয়ে রইলো। আর মনে মনে প্রশংসা করতে লাগলো। আর মনের ভেতরে তার জন্য গভীর মায়া অনুভব হতে লাগলো।
সকলে চলে যাওয়ার পর, অরিন কাছে এসে ধন্যবাদ জানালো আর বলতে লাগলো আপনি আমার জীবন বাচালেন, আপনি মহাপুরুষ। আর অরিন রাহুলকে একটি কার্ড হাতে দিয়ে বলে এটা আমার কার্ড। রাহুল পড়ে দেখলো, তাতে লেখা ’বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন সংগঠন’ লেখা সাথে মোবাইল নাম্বারও দেওয়া আছে।
রাহুল বাসায় এসে আজকে পুরো ঘটনাটি ভাবতে লাগলো, কিভাবে এতো দূর্সাহসিক কাজটি সে করতে পারলো, নিজেই নিজের বাহাদুরী ভেবে অবাক হলো। রাহুল রাতের খাবার খেয়ে রিতিমত ঘুমুতে গেলো, কিন্তু আজ আর ঘুম আসলো না বারবার গোলাপি চেহারার নিস্পীহ স্থীর চেহারাটি বারবার মনে পড়তে লাগলো…..!
(আসছে, আরো…….)
————-
গল্পঃ মায়া , পর্ব-২
লেখকঃ দেলোয়ার হোসেন