ভালবাসার গল্প,মায়া ! পর্ব-৭
ভালবাসার গল্প, মায়া !
পর্বঃ ৭
অরিনের আজ কিছুই ভালো লাগছেনা ! রাহুলের গান, বক্তব্য তাকে এতো মুগ্ধ করেছে যে মনের গভীর হতে তাকে ভালোবেসে ফেলেছে । আজ কোন খাবার খেতে ইচ্ছে করছেনা অরিনের । অরিন তার ছোট ভাই শুভকে ডাক দিল।
-শুভ
-আপু, আজ তোকে অন্যরকম লাগছে ! আপু খাবার খাবিনা ?
-নারে ভালো লাগছেনা!
-আপু জানিস কবি দেলোয়ার হোসেনের রোমান্টিক একটি গান বের হয়েছে। শুনবি আপু ?
-শুনাতো,
-“চোখেরো তারায় হৃদয়েরো আয়নায়
দেখেছিগো শুধু তোমায়,
স্বপ্নের চেয়ে সত্যি, ভালোবেসেছি অসীম বাস্তবতায় ! “
গানটি শুনে কেন যেন অরিনের রাহুলের প্রতি দুর্বলতা আরো বেড়ে গেলো ! অরিন কল্পনায় হারিয়ে গেল !
অরিনদের বাসায় তার বাবার মেঝ ভাই আলতাফ মির্জা এলো, তারা দুই ভাই আজ পৈতৃক সম্পত্তির বিষয়ে আলোচনা করবে আশা নিয়ে । আলতাফ একটু লোভী প্রকৃতির লোক, গ্রামে থাকা যে সম্পত্তি ছিলো সব কিছুই উনি দেখাশুনা করতো, উনার দুই ছেলে এক মেয়ে, তারা গ্রামেই থাকে।
পৈতৃক সম্পত্তির বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও আলতাফ আজ এসেছে তার ছেলের সাথে ভাইয়ের একমাত্র মেয়েকে বিয়ে বিষয়ক আলোচনা করতে । আর মনে ভাইয়ের সকল সম্পত্তি হাতানোর পরিকল্পনা।
রহমান সাহেব খুবি সহজ সরল ও অকপট, গ্রামের সম্পত্তির ব্যাপারে কখনোই তিনি লোভ করেন নি। নিজের চেষ্টা ও শ্রমে তিনি আজ নামকরা ব্যবসায়ী। প্রথম জীবনে মাত্র দশ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা করে আজ তিনি পাঁচতলা তিনটি বাড়ি, দুটি গার্মেন্টস, দুটি ইটের ভাটা, আমদানী রপ্তানি বিপনি দাড়করালেন।
যাই হোক প্রথম জীবনে কষ্ট করলেও এখন খুবি সাচ্ছন্দ্যে জীবন অতিবাহিত করছেন । আলতাফ তার ভাইয়ের সকল সম্পত্তি হাতাতে অনেক পরিকল্পনা করছে। সাপ্তাহ পরে পরে বিভিন্ন বাহানা দিয়ে শহরে আসতে থাকে।
অরিন আজ সন্ধা নাগাদ বাড়ি ফিরে দেখতে পায়, আলতাফ চাচ্চু ড্রয়িং রুমে বসে বসে চুরুট টেনে টিভি দেখছে। অরিনের আলতাফ মির্জাকে তেমন পছন্দ নয়, কারণ সময় অসময়ে বাসায় এসে উপস্থিত হয়। বাসায় ডুকে সালাম দেওয়াতে মামুনি তুমি কেমন আছো ,তোমার আম্মু কোথায় ? বাসায় কেউই নাই দেখে বিষ্মিত হলাম, অরিন বললো, মা-তো আজ একটি অনুষ্টানে অংশগ্রহণ করতে গেছেন, উনি আসতে দেরী হবে ।
-মামুনি, আজ তাহলে আমি আসি, বলে আলতাফ মির্জা চলে গেলেন।
————————————————-——–(….আসছে, আরো….)
- লেখকঃ দেলোয়ার হোসেন