ভালবাসার গল্প, মায়া ! পর্ব-১০
গল্পঃ মায়া, পর্ব-১০
রাহুল অনেক চাকরিতে এপ্লিকেশন করলো। আগামী ২৬ এপ্রিল তার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রিলি পরিক্ষা। এই পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো ,হঠাৎ রুমাতের আগমন।
রুমাত বন্ধু বান্ধবের মধ্যে একটু উচ্ছ্বাস প্রিয় , সে সবসময় গান ,অভিনয় কবিতা আবৃত্তি এসব নিয়ে থাকে । তাকে কখনো মলিন আদলে দেখা যায়নি ।
আজ রুমাত এসেছে তার পছন্দের মানুষ বারী সিদ্দিকীর আমি ডাকিতাছি গান নিয়ে পড়েছে। যেখানেই যাকনা সে গানটি মনে আয়ত্ত করার চেষ্টা করে । তবে তার ব্যক্তিত্ব খুবই ঠুনকো, প্রকৃতির নিজের ছাড়া কিছুই বুঝেনা। তার বাবা ডাঃ মা সহকারী শিক্ষক।
রুমাত রাহুলকে দেখে বলতে লাগলো, কিরে রাহুল তোর কোন দেখা নাই ,তুইতো অমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছিস, রাহুল বলতো পড়াশুনা করে কেউ কিছু হতে দেখেছিস, দেখলে বল ,দোস্ত চীল… চলনা আজ হয়ে যাক ।
-রুমাত তুই কিছুই জানিসনা, পড়াশুনা ছাড়া কেউ উচ্চ পদস্থ হতে পেরেছে কিনা বল।
রুমাতঃ যারা উচ্চ পদস্থ হয়েছে তারা বাবা মামা খালু ও ক্ষেমতার কারনে হতে পেরেছে। তোরমত ইয়া বড় বড় বই পড়ে অর্জন করেনি বুঝেছিস।
রাহুলঃ বললো, তোর সাথে কথা বলে পারবোনারে , চল একটু ঘুরে আসি আর তোর গানও শুনব ।
রুমাত খুশি হলো, দুজনে পাশের মাঠে গিয়ে বসলো। রুমাত কিছু না বলেই গান শুরু করলো, সুয়াচান পাখি আমার সুয়াচান পাখি,
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছো নাকি. . …. !
গানটি শুনতে শুনতে অরিনের মিষ্টি চেহারাটি ভেসে উঠলো,রাহুলের চোখে। অরিনকে অনেক চেষ্টা করেও মন থেকে সরাতে পারছেনা রাহুল।
রুমাতঃ তুই নাকি একটা মেয়ের প্রেমে পড়েছিস! আমাদেরকে না জানিয়ে প্রেমে পড়া যাবেনা, ঠিক আছে। কোন মেয়েটা কেমন হবে সেটা কিন্তু আমি জানি ,জীবনে অনেক মেয়ের সাথে মিশেছি । তোরটা কেমন গায়ের রং, কেমন ফর্সা-কালো ,তামাটে, শ্যামলা বলতো, কেমন হবে আমি আজই বলে দেবো।
রাহুলঃ ওরে আমার জ্যোতিষীরে।
হা হা হা করে দু’বন্ধু হাসতে লাগলো। তারপরও রাহল আজকে একটু মন খুলে হাসতে পারলো।
রুমাতঃ আজ উঠিরে গানটি তোর সামনে গাওয়াতে পুরোটা সাকসেস। আজ রেকর্ড আছে, যাইরে।
এই বলে রুমাত চলে গেলো…
——————————————(….আসছে, আরো….)
লেখকঃ দেলোয়ার হোসেন